সবচেয়ে সুন্দর শক্ত সার্মথ্য এবং সহজে পালন করা যায় এমন এ্যাকুরিয়াম ফিশের মধ্যে ফাইটার অন্যতম।
চোখজুড়ানো বাহারি রঙের অধিকারী খুদে এই মাছটি। ২৫টির বেশি বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়।
গণ:Betta
প্রজাতি:B. splendens
মূল প্রাপ্তিস্থান?
মাংসাশী এই মাছটির মূল আবাস থাইল্যান্ডের মেকং নদী। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং চীনেও এ মাছ পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মিনিমাম ট্যাংক সাইজ? ২.৫ গ্যালন( ১ গ্যালন ৩.৭ লিটার) বা এর বেশী হলে ভালো হয়।
প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা? ২৪-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এদের জন্য ভালো।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতি?
লেজের আকার আকৃতির উপর ভিত্তি করে এর প্রজাতি ভিন্ন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে ভেল টেইল, হাফমুন, ফুলমুন,এলিফ্যান্ট ইয়ার,ডাম্বো ইয়ার প্রজাতি পাওয়া যায়। তবে ভেল টেইল সর্বত্র বেশী পাওয়া যায়।
ট্যাংক তৈরি ও ফিলট্রেশন? ২.৫ গ্যালন বা তার থেকে বড় ট্যাংক প্রয়োজন।তারপর ট্যাংকের সাইজ অনুযায়ী ফিল্টার লাগিয়ে ২০-২৫ দিন সাইক্লিং করতে হবে। সাইক্লিং সম্পন্ন হবার আগে কক্ষনোই মাছ ছাড়া যাবেনা।
খাবার কি দিবো? বেট্টার জন্য বাজারে বিভিন্ন রকম খাবার পাওয়া যায়। এরমধ্যে Hikari ব্রান্ড এর খাবার বেশ ভালো। এছাড়াও মশার লার্ভা, ছোট পোকা মাকড়, ব্লাড ওয়ার্ম বেট্টার খুব পছন্দের খাবার। দিনে ২ বার খাবার ই যথেষ্ঠ।
রোগ বালাই? এরা অনেক শক্ত সার্মথ্য মাছ। তবুও মাঝেমধ্যে কিছু রোগ দেখা দেয়। এদের মধ্যে-
১.ড্রপসি ২.ব্লোটিং ৩.ইচ ৪.ফিন রট অন্যতম।
রোগ হলে করনীয়? মূলত পানির তাপমাত্রা সঠিক না থাকা এবং পানির খারাপ কন্ডিশনের জন্য এ রোগ হয়। তাই আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে রোগ না হয়। তাই সপ্তাহে ২ দিন ৩০/৩৫% পানি চেঞ্জ করতে হবে এবং তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সাধারণত শীতকালে রোগ দেখা দেয়।আর আক্রান্ত হলে হীটার দিয়ে তাপমাত্রা মেইন্টেন করতে হবে এবং প্রতিদিন ৪০% পানি চেঞ্জ করতে হবে। সামান্য রক সল্ট ও ভালো কাজে দেয়।
সতর্কতাঃ
-২ টি ছেলে মাছকে কক্ষনোই একসাথে রাখা যায়না। এরা ফাইট করতে থাকে যতক্ষন একে অপরকে মেরে না ফেলে। তবে শুধু মেয়ে ফাইটার একসাথে রাখা যায়।
-অতিরিক্ত খাবার কক্ষনোই দেওয়া যাবে না।